গতকাল শুক্রবার (৬ মে) রাত পোনে ১০ টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
শাহজাহান আহমদ বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের মখলিছুর রহমানের ছেলে। তিনি বাঘা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শাহজাহান আহমদের পিতা মখলিছুর রহমান বলেন, প্রায় দেড় মাস পূর্বে আমার ছেলে জীবিকার তাগিদে যুক্তরাজ্যে চলে যায়। দেশে থাকাবস্থায় সে ছাত্রদলের রাজনীতি করতো। রাজনীতির মাঠে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। রাজনীতি করার কারণে সে একাধিক সময় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছে। অনেক সময় আওয়ামী লীগ- যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে প্রাণে হত্যার চেষ্টাও করেছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের প্রায় ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার ছেলের খুঁজ করে। তখন আমরা সে প্রবাসে চলে গেছে বলে জানাই। এ কথা শুনার সাথে সাথে ২/৩ জন আমার উপর হামলা করে। আমাকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে। এসময় তারা আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের উপরও হামলা করে। হামলার সময় তাদের লাঠির আঘাতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমাকে বাঁচাতে আসা আমার স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে তার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে আরও ৪/৫ জন আমাদের ঘরে হামলা চালায়। হামলা করে তারা আমাদের ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এসময় ঘরে থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকা, দুই ভড়ি স্বর্ণ, দেড় ভড়ি রুপা নিয়ে যায় তারা।
তিনি আরো বলেন, যাওয়ার সময় তারা আমাদের বলে যায়, আমার ছেলে কোনদিন বাড়িতে আসলে তারা প্রাণে হত্যা করে ফেলবে। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি কোনদিন আমাদের ছেলে দেশে আসলে তারা আমাদের ছেলেকে প্রাণে হত্যা করে ফেলবে।
জানা যায়, শাহজাহান আহমদ দেশে থাকাবস্থায় ২০১৮ সাল থেকে বাঘা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। রাজনীতির মাঠে তার অবস্থান ছিলো সক্রিয়। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাঘা ইউনিয়নে তিনি সাহসের সাথে ছাত্রদলের রাজনীতি করে গেছেন।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ বলেন, এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post a Comment