গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফয়জুল ইসলাম (৩৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এতে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়জুল ইসলাম লক্ষীপাশা ইউনিয়নের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে৷ চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে ফয়জুল ইসলাম চতুর্থ।
নিহত ফয়জুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ও বোন মমতার দাবি নিহত ফয়জুল ইসলামকে তাদের আরেক ভাই নুরুল ইসলাম পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
অপরদিকে তার অন্য দুই ভাই নুরুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের (লন্ডন প্রবাসী) দাবি এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। আর এতেই সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে স্থানীয়দের দাবি ঘটনার সময় তারা দূর থেকে নিহত ফয়জুল ইসলামের বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনেছেন। তবে ঘটনাস্থলে কেউ না থাকায় ঘটনার সত্যতা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নিহত ফয়জুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন,'আমি নতুন বাড়ি করে অন্য জায়গায় বসবাস করছি, বিকেলের দিকে আমার বাড়িতে চেঁচামেচি শুনেছি। কিন্তু, আমার ভাই ফখরুল ইসলামের সাথে আমার বনিবনা না থাকায় আমি আর ঘটনার সময় বাড়িতে যাই নাই। পরে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।'
ঘটনার সময় বোন মমতার স্বামী তার চাচা শশুড়ের ঘরে উপস্থিত ছিলেন দাবি করে বলেন, তিনি দূর থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। কিন্তু, অভিযুক্ত ফখরুল ইসলামের ভয়ে তিনি সেখানে যাননি। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন ফয়জুল ইসলাম মারা গিয়েছেন। তার দাবি ঘটনার সময় একমাত্র অভিযুক্ত ফখরুল ইসলাম ও তার পরিবার উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত ফয়জুল ইসলাম দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায় এক বছর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে দুমাস আগে বাড়ি ফিরেন।
মাদকাসক্তের বিষয়টি স্বীকার করে বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, সে আগে কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলো,তবে দুই মাস আগে সে চিকিৎসা করে বাড়িতে ফিরে আসে।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা তা নিয়ে কিছুটা ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।
إرسال تعليق