গোলাপগঞ্জে ফের মামলার আসামি যুবলীগ নেতা এমরুল


নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় পাবেল আহমদ ইমন নামে একজন বাদি হয়ে সিলেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।


মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে৷ একই মামলায় যুক্তরাজ্যে থেকেও এজাহারভুক্ত ৭নং আসামি হয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ এমরুল। এছাড়াও মামলায় ৮৩ জনের নামোল্লেখ ও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।


রোববার (১৬ মার্চ) সিলেটের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী ইয়াগুল গ্রামের সালেহ আহমদের ছেলে পাবেল আহমদ ইমন (২২)। (মামলা নং:১৪৬/২০২৫ইং)।


মামলার সূত্রে জানা যায়, মামলার ৪নং হতে ২৫নং আসামীরা বেআইনীভাবে দেশী বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, পেট্রোল বোমা, দা, রাম দা, লাটি, জিআই পাইপ ইত্যাদি দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিরীহ ছাত্র জনতাকে হত্যার জন্য নির্বিচারে ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি বর্ষণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।


এদিকে, মামলার ৭নং আসামি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ এমরুল গত বছরের ১৭ জুলাই যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। প্রবাসে থেকেও তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন। 


মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ এমরুলের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলার ঘটনায় আর ৩টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জুনেদ আহমদ বাদি হয়ে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে মামলা (মামলা নং: ৩৪৪/২০২৪ইং) দায়ের করেন। ওই মামলায় এমরুল ৩৮ নং আসামি। এছাড়া সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৫ আদালতে জকিগঞ্জ থানার শামিম আহমদ বাদি হয়ে একটি মামলা (মামলা নং: ২৮০/২০২৪ই) দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি ১৩নং আসামি। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।


এছাড়াও সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মো.জলিল বাদি হয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর একটি মামলা (মামলা নং: ৪৫৬/২০২৪ ইং) দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি ১৭নং আসামি। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।


উল্লেখ্য, প্রবাসে থেকেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪টি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে গত বছরের ১৯ নভেম্বর তার নিজ বাড়ি উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে মধ্যরাতে তল্লাশী চালায় পুলিশ। এসময় তাকে না পেয়ে ভাংচুর চালিয়েছে পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

Post a Comment

أحدث أقدم
Sylhet Natun Barta 24